আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একের পর এক ঘটনা, যেন প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদার পিছু চাড়ছে না। এবার ছােট বােনকে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের দাবীকৃত ১ হাজার টাকা দিতে না পাড়ায় তার প্রহারে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই মাদ্রসার ছাত্র নজরুল ইসলাম এখন হাসপাতালে। নজরুলের মা সায়েরা খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, বুড়িশ্বর ইউনিয়ন ছাত্র দলের সভাপতি মোঃ এনামূল হুদা সুমনের বড় ভাই অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা তার ছেলে নজরুলকে ঘুষি মেরে নাকের হাড় ভেঙ্গে ফেলেছে। তাছাড়াও বেল দিয়ে পিটিয়ে তার ছেলের পিটে ও পায়ে মারাত্বক আহত করে পরণে থাকা কাপড় ছিড়ে ফেলেছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক তার ছেলেকে উল্টা মামলার ভয় দেখাচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের মামলার ভয়ে তার ছেলে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী লাখাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা অনুমান ২ ঘটিকার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার আতাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আহত নজরুল ইসলাম জানায় এবছর তার ছােট বােন সুরাইয়া বেগম গ্রামের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে ৪র্থ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয় আতাকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হতে যায়। এ সময় প্রধান শিক্ষক নাজমুল হুদা তার কাছে ভর্তি বাবদ ১ হাজার টাকা দাবী করে। প্রধান শিক্ষকের দাবীকৃত টাকা না দিলে ওই ছাত্রীকে ভর্তি না করে ঘুরাতে থাকে।
ঘটানার দিন নজরুল স্কুলে গিয়ে তার বােনকে কেন ভর্তি করা হচ্ছে না জানতে চাইলে, প্রধান শিক্ষকের সাথে তার কথা কাটাকাটি ও বাগবিতন্ড হয়। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে নজরুলের উপর চড়াও হয়ে নজরুলের নাকে ঘুষি মারে। প্রধান শিক্ষকের ঘুষিতে নজরুলের নাকের হাড় ফেটে যায়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক নামজুল হুদা তার বেল দিয়ে নজরুলকে পিটিয়ে তার পিটে ও পায়ে মারাত্বক শুরুতর আহত করে। এসময় প্রতিবেশিরা এগিয়ে গিয়ে নজরুলকে প্রধান শিক্ষকের হাত থেকে উদ্ধার করে। তারা আরাে জানায় পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তার এক সহযােগি, সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে ফােন করলে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পুলিশের মাধ্যমে নিয়ে আসেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জুলুশ খান পাঠান জানান ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষাকর্মকর্তা উম্মে সালমা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান।
প্রধান শিক্ষকের সাথে যােগাযােগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা আরাে জানায়, প্রধান শিক্ষক ২০১৭ সালে ও ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে তার গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযােগে মামলা দায়ের করেন। যা এখনাে আদালতে চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় অত্র স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply